করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হলেই আয়োজন করা হবে রাজধানীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা। তার আগে জমায়েত কিংবা বিদেশি মেহমানদের ভিসা দেওয়ার অনুমতি দেবে না সরকার। তাই ইজতেমার আয়োজক দুটি গ্রুপ মাওলানা জোবায়ের ও মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভি অনুসারীদের মধ্যে নেই তেমন তৎপরতা।
বছরের শুরুতেই ১২ জানুয়ারি সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের ছিল আখেরি মোনাজাত। এর পর ১৯ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষ হয় মাওলানা সাদ অনুসারীদের মোনাজাতের মধ্য দিয়ে। নিয়ম অনুযায়ী একই সময় ধরে ইজতেমা আয়োজনের আগাম ঘোষণা দেওয়া হয়। সে অনুসারে আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের ইজতেমা হওয়ার কথা। আর সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুয়ায়ী, চার দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা আয়োজনের ঘোষণা হয় ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি।
এ বিষয়ে মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভি পক্ষের জিম্মাদার সাথী মো. আকরাম হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, ‘বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মধ্যে ইজতেমার আয়োজন করে আমরা মুসল্লিদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। তবে নিয়ম অনুযায়ী সরকারের অবস্থান জানতে গত নভেম্বরে স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। যতদূর জেনেছি ওই চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে মৌখিকভাবে আমাদের বলা হয়েছে, বৈশ্বিক করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ নেতিবাচক প্রভাব না পড়লে জানুয়ারির শেষে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হতে পারে।’
মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের একজন জানান, লাখ লাখ মুসল্লি এবং বিদেশি মেহমানদের সমাগমে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। করোনার প্রভাবও কাটেনি। তাই এ মুহূর্তে তাদের মধ্যে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতি নেই। করোনার প্রভাব গেলেই শূরা সদস্যরা এ নিয়ে আলোচনায় বসে ধর্ম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় দুপক্ষের লাখ লাখ মুসল্লি সারাদেশ থেকে অংশ নেন। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক অতিথির আগমন হয়। কিন্তু নতুন করে যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ভাইরাস আবিষ্কৃত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। এ অবস্থায় মন্ত্রণালয় চাচ্ছে বৈশ্বিকভাবে করোনার প্রভাব দুর্বল হওয়ার পর ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত দেবে।’
Leave a Reply